স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে বিভিন্ন এনজির কাছ থেকে কিস্তি নিয়ে কেউ কিনেছেন রিকশা বা অটোরিকশা। আবার কেউ কেউ শুরু করেছিলেন ক্ষুদ্র ব্যবসা। প্রতি সপ্তাহে কিংবা মাসে তাঁদের কিস্তি দিতে হয়। এখন ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ পরিস্থিতিতে রাজশাহীর এই রিকশা-অটোরিকশার চালকেরাসহ বিভিন্ন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বেকায়দায়। লকডাউনে আয় কমায় অনেকে কিস্তি দিতে পারছেন না। এ নিয়ে নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ডে এনজিও’র লোকেরা বাড়িতে বাড়িয়ে এসে হাঙ্গামা করছে।
এদিকে গতবছর লকডাউনের সময় বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) ঋণের কিস্তি আদায় নিয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি। কিন্তু এবার এক সপ্তাহের লকডাউন বেড়ে ১৬ মে পর্যন্ত হলেও এখন পর্যন্ত এনজিও’র কিস্তি শিথিল করা হয়নি। ফলে লকডাউনেও কিস্তি দিতে হচ্ছে। তবে জেলা প্রশাসন বলছে, জোর করে কিস্তি আদায় করতে এনজিওগুলোকে বারণ করা হয়েছে।
মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির উপপরিচালক (প্রশাসন শাখা) আবু বকার সিদ্দিক বলেন, গতবছর লকডাউনের সময় আমরা এনজিও’র কিস্তি আদায়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সার্কুলার দিয়েছিলাম। এবার দেয়া হয়নি। এবার লকডাউনের ব্যাপারে সরকার যে প্রজ্ঞাপন দিয়েছে তাতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে। সে জন্য মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি পক্ষ থেকে আলাদা সার্কুলার দেয়া হয়নি। তাছাড়া স্থানীয়ভাবেই প্রশাসন বিষয়টা দেখতে পারে।
মতিহার বার্তা / ইএবি
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.